Sunday, June 23, 2013

বৃষ্টি, আঙটি, গোলাপ ফুল নিয়ে কিছু কুসংস্কার ও তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।


পৃথিবীর সব জায়গায় রয়েছে বেশ কিছু কুসংস্কার। কিন্তু সব কিছুর একটি ব্যাখ্যা আছে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি থেকে। তাহলে চলুন আজকে আমার শেষ পর্বে দেখি এমন কিছু কুসংস্কার যা আমরা এতদিন সত্য ভেবেছিলাম কিন্তু আসলে এগুলো শুধুই আমাদের মিথ্যা ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয়। আজকের বিষয় হচ্চনে বৃষ্টি, আঙটি, গোলাপ ফুল নিয়ে কিছু কুসংস্কার ও তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

রেইন (Rain) বৃষ্টি
জমিনে যারা কৃষি ইত্যাদির জন্য কাজ করে তাদের মধ্যে প্রধান চিন্তাই হচ্ছে কখন বৃষ্টি শুরু হবে। আর এক্ষেত্রে কুসংস্কার তার কুলক্ষণ সম্বন্ধে খুব সমৃদ্ধভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে। এর অনেকগুলোই হচ্ছে খুব সতর্কতার সাথে পশু-পাখিদের আচরণ লক্ষ করে (উদাহরণস্বরূপ একটা বিড়াল তার মুখ ধোয়ার সময় কানের পেছন দিকটায় ঘষা দিলে তার অর্থ হচ্ছে বৃষ্টি আসবে, যেভাবে মাকড়সা যদি আশ্রয় খুঁজতে থাকে তাতেও বৃষ্টি আসবে বলে মনে করা হয়।) যদিও অনেকে দাবি করে শরীরের কোনো অঙ্গ ব্যথা করলে অথবা পায়ের কড়াগুলোতে যন্ত্রণা হলেও সমভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে প্রকাশ করে যে শিগগিরই বৃষ্টি আসছে। প্রকৃতপক্ষে এই ধারণাটা আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত হয়েছে। কারণ এসব রোগের লক্ষণ আবহাওয়ার চাপের সাথে জড়িত।

রিং (Ring) আঙটি
আঙটি তাদের গঠন অনুসারে অনেক জিনিসের প্রতীকী হিসেবে কাজ করে এবং তাকে অনেক অতি প্রাকৃতিক গুণের অধিকারী হিসেবে গুণ আরোপ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের রোগ ভালো করার ক্ষমতা এবং জীবন রক্ষা করার ক্ষমতা। যে আঙটির মালিক দূরে আছে তার ভাগ্য সুরক্ষার জন্য আঙটির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষকার পরিচ্ছন্নতার ওপর নির্ভর করতে হয়। যা আঙটির মধ্যে খোদাই করা হয় সেটা কোনো জাদুকরী শব্দ হতে পারে অথবা পবিত্র পরিবারের কারো নাম হতে পারে অথবা হতে পারে তিনি ম্যাগী। সেগুলো কুদৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করে বলে মনে করা হয় এবং এক সময় বলা হতো এর দ্বারা প্লেগ রোগ ভালো হয়। আঙটি যদি এমন ধাতুর হয় যা যে কোনোভাবে পবিত্র, তার থাকবে আরোগ্য করার বিশেষ শক্তি। এডওয়ার্ড নামের একজন জাদুকরের একটি আংটি ছিল (যেটা বর্তমানে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রক্ষিত আছে) যার খিঁচুনি রোগ ভালো করার ক্ষমতা ছিল বলে জনশ্রুতি আছে এবং অনেক ইংলিশ রাজারা এই তথাকথিত ক্রম্প রিংকে রোগীর হাতে দেয়ার পূর্বে আশীর্বাদ করেছেন। এটা এক সময়ে একটা সাধারণ স্থানেও পরিণত হয়ে ছিল যেখানে যীশুখ্রিষ্টের ভোজসভায় প্রদত্তা প্রথম পাঁচটি রৌপ্য অঙ্গরী গ্রহণ করা হতো এবং প্রার্থনার সাথে তাদের গলানো হতো এবং তার দ্বারা এই জাদুর আংটি তৈরি করা হতো।

রোজ (Rose) গোলাপ ফুল
কুসংস্কারের ক্ষেত্রে গোলাপফুলই হচ্ছে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করার যোগ্য। এটা হচ্ছে ভালোবাসার ফুল। কুইন ভিক্টোরিয়ার সময়কালে বিভিন্ন রঙের গোলাপের প্রতি প্রেমিকেরা বিভিন্ন রকম গুণ আরোপ করত। লাল গোলাপ ধৈর্যের প্রতীক এবং সাদা গোলাপের মানে পবিত্র ভালোবাসা এভাবে অর্থ করা হতো। গোলাপের প্রেমিকদের সাথে এই যে সম্পৃক্ততা এবং প্রেম নিবেদনের যে গোপনীয়তা তাও গোলাপ ফুলের সদিচ্ছা ও নীরবতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। সুতরাং তার সমমান এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে সেটাকে কাউন্সিল চেম্বারের সিলিংয়ের ওপরেও খোদাই করা হতো, অন্যান্য সভা সমিতির স্থানেও অংকিত থাকত।
Filed Under :

0 comments for "বৃষ্টি, আঙটি, গোলাপ ফুল নিয়ে কিছু কুসংস্কার ও তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।"

background