Sunday, August 18, 2013

কিছু ভেষজের গুণাগুণ জেনে রাখুন.....

ভেষজের গুণাগুণ...


রূপচর্চায় প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের কদর হয়েছে যুগে যুগে। এখনো রূপসচেতন নারী-পুরুষেরা সৌন্দর্যচর্চায় সবার আগে বেছে নিতে চান ভেষজ বা হারবাল প্যাক। রূপবিশেষজ্ঞদের পছন্দের তালিকায় হারবাল উপাদান সব সময়ই প্রথম। এমন কী গুণ আছে হারবালের? হারমনি স্পার প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার পছন্দের হারবালগুলোতেই না-হয় চোখ বুলিয়ে বুঝে নিন—কেনটির কী গুণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনিই।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী:
অ্যালোভেরায় মূলত শাঁস ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বক ও চুল ভালো রাখে, তবে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর ফলে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে। কোনো উপযুক্ত মাধ্যমের সাহায্যে ব্যবহার করলে অ্যালোভেরা জাদু দেখাতে পারে। শুষ্ক ত্বকে অ্যালোভেরায় দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। তৈলাক্ত ত্বকে শুধু মধু যোগ করতে পারেন। চুলে সরাসরি লাগানো যায়। এক ঘণ্টা রাখলে চুল পড়া কমবে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
হরীতকী:
আগের দিনে নবজাতকের চোখে হরীতকীর কাজল লাগানো হতো। বিশ্বাস ছিল, এতে করে তার চোখের গঠন সুন্দর হবে, চোখ বড় হবে। ভেষজের মধ্যে হরীতকীর গুরুত্ব অনেক। হরীতকীর ভেজানো নরম শাঁস ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে প্রচুর। ত্রিফলার মধ্যে হরীতকী অন্যতম উপাদান। স্বাস্থ্যের যত্নে এর অবদান নতুন করে কিছু বলার আছে কি?
আমলকী:
আমলকীতে সব ধরনের স্বাদ আছে। তাই তো এটি চ্যবনপ্রাসের মূল উপাদান। আমলকী ত্বক ও চুলের যত্নে অসাধারণ। এর আছে অ্যান্টি-এজিং বা বয়স প্রতিরোধক ক্ষমতা। আমলকীর পেস্টের সঙ্গে তিলের তেল মেখে মুখে ঘষলে রিংকল বা বয়সের ভাঁজ কম দেখায়। রিংকল কমাতে আমলকীর ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আধা কাপ আমলকীর শাঁসের পেস্ট, ২৫০ গ্রাম তিলের তেল, দুই টেবিল-চামচ মৌমাছির মোম প্রথমে চুলায় জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হয়ে এলে এক টেবিল-চামচ মধু মেশাতে হবে। এই ক্রিম প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যবহার করতে হবে।
তুলসী:
সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা প্রতিরোধে তুলসীর কোনো তুলনা নেই। একই সঙ্গে এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। রূপচর্চায় তুলসী মূলত ব্যবহার করা হয় মেছতা তোলার কাজে। এ জন্য প্রতিদিন ২০ মিনিট মেছতার ওপর তুলসী বেটে লাগিয়ে রাখতে হয়। তুলসীর রস প্রতিদিন পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
মেথি:
চুলের ও ত্বকের হারবাল উপাদান হিসেবে মেথির কোনো তুলনা নেই। মেথি গুঁড়ো করে ব্রণের ওপর লাগালে ব্রণ কমে। চুল নরম ও ঝলমলে করে। মেথি ভেজানো পানি পান করলে ডায়াবেটিসের রোগীদের উপকার হয়। কারণ, মেথি ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
Filed Under :

0 comments for "কিছু ভেষজের গুণাগুণ জেনে রাখুন....."

background